অবতক খবর,১৮ মার্চ: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন এমপি ল্যান্ডের স্যাংশন ১২ কোটি টাকা আটকে রয়েছে, আমি অনেকদিন আগে থেকে এই টাকার কাজগুলো করার জন্য বারংবার বলেছি, বর্তমানে ভোট ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে আর সম্ভব নয়। তিনি বলেন গরম কাল এই টাকাটা যদি কাজে লাগানো যেত মানুষের উপকার হত কারণ এই টাকায় বেশি টাই ছিল পানীয় জল, আর্সেনিকমুক্ত জল প্রকল্পের।
অধীর চৌধুরীর বলেন ওরা বলতে পারে আগে কেন করেননি? আগে এমপির কথায় সরাসরি কাজ হত না আগে ছিল এম পি ডিস্ট্রিক্ট কে বলবে, ডিস্ট্রিক্ট তার কতটা কি করবে তার জন্য সময় নিবে আর এখন উল্টো চিত্র হয়েছে। এখন আমাদের বলার সুযোগ হয়েছে যদি না হতো তিনি বলেন এক একটা টার্মে পাঁচ কোটি টাকা পাই তাহলে আমার এত টাকা জমলো কি করে খুব স্বাভাবিক কারণে আমার টাকা খরচ করতে দেয়া হয়নি যদি দেয়া হতো যদি কাজ হতো তাহলে অধীর চৌধুরীর নাম হয়ে যেত সে কারণে প্রশাসন কাজগুলো করতে দেয় নি কিন্তু যেহেতু এমপি ল্যান্ডের টাকা বরাদ্দ হলে আর ফেরত হয় না সেই কারণে টাকা জমে থেকে গিয়েছে। গতবার তৃণমূল ভেবেছিল যে অধিক চৌধুরী হেরে যাবে অধীর চৌধুরীর ফান্ডের সেই টাকাটা তারা ব্যবহার করবে মানুষ তা করতে দেয়নি।
মানুষ অদিত চৌধুরীকে আশীর্বাদ করে ভোটে জিতিয়ে এনেছে। সেই কারণে টাকাটা জমা থেকে গিয়েছে। বললেন অধীর। প্রশাসন এবং তৃণমূল সে কারণে আমার ১২ কোটি টাকার কাজ আটকে দিল তারা প্রমাণ করানোর চেষ্টা করল অধীর চৌধুরী টাকা খরচ করতে পারেনি। তিনি বলেন আমার যে সমস্ত কাজের তালিকা আমি রেকমেন্ড করে দিয়েছি। সে সমস্ত তালিকা আমার কাছে আছে যে যখন যেখানে বলবেন আমি সেই তালিকা দেখাতে পারবো। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন এখানকার প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নকে বাধা দিয়ে আমাকে অযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করল এখানকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন বড় দুর্ভাগ্য আইনত পারে না আইনকে পুরা আঙুল দেখিয়ে আইনকে দুর্বল করে এই অধিকার কে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করল।
তিনি বলেন কেড়ে নিতে পারবে না মানুষ আমার সঙ্গে আছে আজ নয় কাল তাদেরকে করতেই হবে কিন্তু ভোট বড় বালাই, ভোটের আগে অধীর চৌধুরীর নামে কেউ যদি প্রশংসা করে ফেলে সেটা না তৃণমূলের সহ্য হয় না ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সহ্য হয় বললেন অধীর।