অবতক খবর,১২ জানুয়ারি,অভিষেক দাস,মালদা:-এখনো থমথমে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সুকদেবপুর গ্রাম। জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন সুকদেবপুরের অধিকাংশ বাসিন্দারা। যদিও খোলা সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে বিএসএফের । গত সোমবার এই সুখদেবপুরে প্রায় ১২০০ মিটার খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল বিএসএফ। আর অদ্ভুতভাবে ওই কাজের বাঁধার সৃষ্টি করে বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এরপর থেকে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে ফেনসিংয়ের কাজ নিয়ে টানাপোড়েন ।

বিজিবির সদস্যরা অযথাই সীমান্তের ওপারে অসংখ্য মানুষের জমায়েত করাচ্ছে। তাতে এপার সীমান্তের বাসিন্দারা জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন। এছাড়াও চোরাচালান বন্ধ হয়ে যাবে, এই অনুমান করে এই সীমান্ত এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাঁধা দিচ্ছে বিজিবি।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সীমান্তের এই খোলা এলাকাটা দিয়েই জালনোট, গোরু পাচারের কড়িডর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ওপারের দুষ্কৃতিরা ।

শুধু তাই নয়, জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। এই এলাকায় থ্রি ফেজের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে, হয়তো সমস্ত ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়ে যেত। বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের দুই নম্বর ইনকাম বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ। আর তাতেই বাঁধা দিচ্ছে বিজিবি। আসলে ওপারে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের লেনদেনও রয়েছে। তবে ওরা যদি গ্রামবাসীদের সাহায্যে নিয়ে হামলা চালায়, তাহলে আমরাও বসে থাকবো না।

এদিকে সুকদেবপুর সীমান্তে ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানেরা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধারের কাছে কাউকে যেতে দিচ্ছে না। কোনরকম যাতে উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকেই কার্যত ওই এলাকার ঘেরাবন্দী করে রাখা হয়েছে। দূর থেকেই সীমান্ত এলাকার নজর রাখছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই সীমান্ত এলাকাতেই কারোর গমের জমি ,কারোর ধানের জমি, আবার কেউ সরিষা রয়েছে। কিন্তু ওপারে দুষ্কৃতীরা সব ফসল কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই বিএসএফ ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আমরা বিএসএফকে সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।