অবতক খবর,১৩ এপ্রিল,মালদা:- এখনো কাঠের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়ে আজও জীবন ঝুঁকি নিয়ে করতে হয় চলাচল। বর্ষা নামতেই থাকে পোকা মাকড় এর ভয়। এমনকি সাঁকো থেকে পড়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিল এক নাবালকও! শুধু তাই নয় ২০২১ সালে টেন্ডার হয়েও আজও হয়নি পাকা রাস্তা।প্রায় দেড়শ মিটার পাকা রাস্তা হতে গেলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বেশ কয়েকশো মানুষজনেরা।

এই ঘটনা পুরাতন মালদা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোকাতিপুর এলাকার, ঘটনাক্রমে জানা গেছে বছর পাঁচেকের বেশি সময়ের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১৫০ মিটার রাস্তার কাজের টেন্ডার করা হয়। তবুও এখনও পর্যন্ত সেই কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার স্বপ্না হালদারের। তাঁর দাবি, অতীতে তিনি জেলা প্রশাসন,পুরসভার চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কোনোও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে কাজ শুরু না হওয়ায় হাঁটাচলা করতে স্থানীয় এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত থাকছে না। স্থানীয়রা বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তা না হওয়ায় নিচু জায়গায় নিজেদের অর্থ দিয়েই একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেন। সেই সাঁকো দিয়ে তাঁরা যেতেন। তবে ওই সাঁকো বেহাল হয়ে রয়েছে। চলাফেরা করতে গিয়ে যে কোনোও মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি আরো বলেন স্থানীয় এলাকায় রয়েছে মন্দির ও বছরের শেষে এক ঐতিহ্যবাহী জুয়াড়ি মেলা অনুষ্ঠিত হয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় আর এই বাঁশের সাঁকর উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় বেশ কয়েকশো মানুষজনকে।

পাশে রয়েছে একটি ছোট্ট নয়নজুলি বর্ষা নামতেই সেখানে ভরে যায় জল।এমনকি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পড়ে যায় এক নাবালক যেমন তেমন করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে, এছাড়াও থাকে পোকামাকড়ের ভয়। ভারী মানুষ চলাচল করতে গেলেই ঘটে যাবে যে কোন সময় দুর্ঘটনা।তবে কবে হবে সেই রাস্তা? আজও আশায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌর নাগরিকরা । যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সপ্না হালদার তিনি বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত রয়েছে এবং যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক চান তিনিও। এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের সঙ্গে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।