অবতক খবর,৭ মার্চ: এক বয়স্ক ব্যক্তিকে গালে গালে সপাটে চড় থাপ্পর মারছেন যুবতী! একদিকে চলছে মারধর, অন্যদিকে ভিডিও রেকর্ডিং। বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। বয়স্ক ব্যক্তির অপরাধ কি? ভিডিওতে যুবতীর দাবি, ট্রেনের যাত্রাপথে তার ভিডিও করেছে ওই ব্যক্তি। আর সেই অপরাধেই তাকে কার্যত সব যাত্রীদের সামনে গালিগালজ করছেন এবং মারছেন ওই মহিলা। বয়স্ক ওই ব্যক্তিকে মারধরের সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই যুবতীকে কার্যত স্যালুট জানিয়েছেন। কিন্তু আসল ঘটনা কি? জানতে একাধিক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পৌঁছে গেছিলেন মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়।
জানতে পারা গিয়েছে, বয়স্ক ওই ট্রেন যাত্রীর নাম সফিকুল ইসলাম ওরফে কালু। তার বাড়ি ফারাক্কা থানার তোফাপুর গ্রামে। পেশায় আয়ুর্বেদিক ডাক্তার। আয়ুর্বেদ প্রোডাক্টের উপর কাজ করেন তিনি। বুধবার ধুলিয়ান স্টেশন থেকে বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে একটি বিশেষ একটি প্রোগ্রামে মালদা যাচ্ছিলেন। সফিকুল ইসলাম ওরফে কালু নামে ওই বয়স্ক ব্যক্তিটির দাবি, স্ক্রিনটাচ মোবাইল এর তেমন ব্যবহার আমি জানি না। ফারাক্কা স্টেশন পার হতেই কিছুক্ষণ পরেই যুবতীটি হঠাৎ আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। আমি তার ভিডিও করছি বলে উল্টাপাল্টা বলতে শুরু করে। আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন রকম গালিগালাজ থেকে শুরু করে সকলের সামনে মারতে শুরু করে।
গালে গালে চড় থাপ্পড় দিতে শুরু করে। আমাকে কোনরকম কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুখের দাড়ি দেখে তাচ্ছিল্য আকারে কথা বলেছে বলেও দাবি করেছেন ওই বয়স্ক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, মালদা স্টেশনে নিয়ে গিয়ে GRP এর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। যদিও কোনকিছু অসংগতি না পেয়ে GRP আধিকারিকরা আমার মোবাইলটি তাদের কাছে রেখে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সফিকুল ইসলামকে। সফিকুল ইসলামের দাবি, যুবতী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলেও বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। এদিকে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বয়স্ক একজন ব্যক্তিকে এভাবে মারধর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমজনতার প্রশ্ন, মারধর করে সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কিসের বার্তা দিতে চাইছে ওই যুবতি? সফিকুল যদি ভিডিও করে অন্যায় করেই থাকেন তাহলে কিভাবে যুবতি নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে এভাবে মারধর করতে পারেন? কেন পুলিসকে ততক্ষনাত জানায়নি সে? সত্যিই যদি সফিকুল ইসলাম অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে কেন GRP আধিকারিকরা রাতেই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন? পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।