অবতক খবর,১২ মার্চ,মালদা:- অভিযোগ ছিল জাল সার তৈরির।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সারের দোকান এবং গোডাউনে প্রশাসনের হানা। তারপরেই একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে সিল করা হলো সারের দোকান এবং গোডাউন।পাওয়া গেল মেয়াদ উত্তীর্ণ সার। সংগ্রহ করা হলো নমুনা।তদন্ত চলাকালীন তদন্তে অসহযোগিতা দোকান কর্তৃপক্ষের।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের করিয়ালি রাজেশ্বর মোড় এলাকায় রাশেদ আলীর সারের দোকান এবং গোডাউন। প্রশাসনের কাছে এই দোকানের বিরুদ্ধে খবর ছিল এখানে জাল ভাবে সার তৈরি করে প্যাকেটিং করে বিক্রি করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না নিয়ম।
তারপরেই এদিন সেখানে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাপস কুমার পাল, কৃষি আধিকারিক প্রভাত উৎপল আচার্য এবং ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর সাহা ও অন্যান্য পুলিশ কে সাথে নিয়ে হানা দেন সেখানে।সামনে আসে একাধিক বেনিয়ম।সরকারি নিয়ম মেনে সার বিক্রি হচ্ছিল না সেই দোকানে।মেশিন এবং মজুদ করা সারের হিসেবে ছিল অনেক গরমিল।
আধার কার্ড ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছিল সার।এছাড়াও অনেক মেয়াদ উত্তীর্ণ সার পাওয়া গেছে। তারপরেই এদিন একটি দোকান এবং তিনটি গোডাউন সিল করা হয়। ভেজাল সার রয়েছে কি না সে ক্ষেত্রেও সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। যদিও এদিন তদন্ত চলাকালীন তদন্তে অসহযোগিতা করে দোকান কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক আধিকারিকদের আরো তিনটি গোডাউনের চাবি দেওয়া হয়নি বিভিন্ন বাহানায়। সেগুলি তে কি ভেজাল সার এবং কীটনাশক মজুদ রয়েছে উঠেছে প্রশ্ন? প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান পরবর্তীতে সেই গোডাউনেও অভিযান চালানো হবে। শোকজ করা হয়েছে দোকান মালিক কে। শোকজের সঠিক উত্তর না আসা পর্যন্ত সিল থাকবে দোকান এবং গোডাউন।