অবতক খবর,১২ জানুয়ারি,মালদা:- একাধিক ছাত্রীর ভুয়ো ব্যাংক একাউন্ট খুলে কন্যাশ্রীর টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ।এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে মালদহের মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘটনা ছাত্রীদের নিয়ে মানিকচক থানার পুলিশের দারস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর 12 জন ছাত্রীর টাকা ২০২১ সালেই জালিয়াতি করে তুলে নেওয়া হয়েছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বাদিউজ জামান এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে মানিকচক থানার পুলিশের কাছে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রধান শিক্ষক বাদিউজ জামান দাবি করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রায় ৪২ জন ছাত্রীর এমন ঘটনা রয়েছে। তবে ১২ জন ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২০২০ সালে এই সমস্ত ছাত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। কিন্তু তাদের কন্যাশ্রী টাকা ২০২১ সালে ধরমপুর এলাকার একটি ব্যাংকের শাখায় ভুয়ো একাউন্টগুলিতে ঢুকানো হয়। তারপর সেই টাকাগুলির আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের তরফে এই টাকা ঢোকানোর পেছনে স্বাক্ষর রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয় যুক্ত হয়।
আমার প্রধান শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে এই বিদ্যালয়ের টিআইসি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে যিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার। ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সমস্ত স্কলারশিপ ও নডাল টিচারের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে অনলাইনে এই সমস্ত ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর যে টাকা দেওয়ার পেছনে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনন্দ মজুমদারের শীল সই রয়েছে। কারণ সহকারী প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অনলাইনের এই পোর্টাল কোনোভাবে খোলা সম্ভব নয়।এত বড় একটা জালিয়াতি পেছনে তিনি একমাত্র দায়ী। বর্তমানে এতগুলো ছাত্রী আর কন্যাশ্রীর টাকা পাবে না।
এখনো পর্যন্ত ২০২১ সালের কন্যাশ্রীর যে তালিকা তা তদন্ত করে যা বুঝতে পেরেছি ৪২ জন ছাত্রীর টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রীদের বয়সের ক্ষেত্রেও জালিয়াতি করা হয়েছে। ছাত্রীদের বয়স বাড়িয়ে ভুয়ো একাউন্টগুলিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে।তবে এই গোটা ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তদন্ত করে দেখার পরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেখানেও একটা গাফিলতি হয়েছে বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের।
গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের দাবি, এই ধরনের অভিযোগ সমস্তটাই ভিত্তিহীন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ২০১৯ সালে।ঘটনা হয়েছে ২০২১ সালে সেখানে এই ঘটনায় আমার যুক্ত থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। সমস্ত কিছু প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতে হয়। আমার হইত শীলশই জাল করে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।