অবতক খবর,৬ জানুয়ারি: একই দিনে দুবার আক্রান্ত হয়েছে সেন্ট্রালের তদন্তকারী দল। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি জানান দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে কথা বলে এসেছি পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আজ সে কথা প্রতি পদে পদে জনমানুষে প্রতিধ্বনি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দল জওয়ান থাকা সত্ত্বেও যেভাবে আক্রান্ত হলো এরপর বাংলার মানুষ কি করে ভাববে যে সে নিরাপদে আছে।

এই বাংলার তৃণমূল দল খোকাবাবু কাকাবাবু, শাজাহান নুরজাহানদের নক্ষত্রপুত্র। তাই এ বাংলায় সন্ত্রাস ছাড়া মানুষের কাছে আর নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। অধীর বলেন বাংলার মানুষ দিদিকে এনেছিলে বহু আশা করে কিছু ভালো দেখবেন বলে কিন্তু কি দেখলেন দিদি আসার পরে দুর্নীতি লুট রাহাজানি সন্ত্রাস। এই সন্ত্রাস শুধুমাত্র মানুষের উপরে থেমে থাকছে না তাদের এত ক্ষমতা যে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর তারা হামলা চালাচ্ছেন। চালাবেন না কেন? তারা জেনে গিয়েছে দিদির রাজত্বে তাদের কিছু হবে না পুলিশের উপর হামলা করে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়িয়েছে সুতরাং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা করে তারা দেখিয়ে দিল এই রাজত্বে তারাই শেষ কথা সেই কারণে তৃণমূলের অনেক কে বলতে শোনা গিয়েছে, শাহজাহান শেখ এর বাড়িতে যাওয়ার আগে কেন জানিয়ে গেল না।

অধীর চৌধুরী বলেন সন্ত্রাস এখন তদন্তকারী দলের উপর হচ্ছে। যা ভূ ভারতে কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন এখানকার পুলিশের নিশ্চুপোতা এবং পুলিশ মন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যার হাতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন তিনি ও অদ্ভুতভাবে এই ঘটনায় নিশ্চুপ। অধীর বলেন এটিকে এক কথায় বলা যেতে পারে ডিফেন্স ইজ সাইলেন্ট, তিনি বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী র এই নিশ্চুপতা অনেক কিছুর মানে করছে। তিনি আরো বলেন এই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর যে আক্রমণ চলছে তার পিছনে বর্তমান শাসকদলের ভূমিকা অবশ্যই আছে বলে দাবি করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শাসক দল কখনো পুলিশের মদদ ছাড়া এ কাজ করতে পারে না তিনি অভিযোগ করেন।

পুলিশের দায়িত্বে যিনি আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তার নিশ্চুপতা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রতিটি ঘটনার পিছনে তার মদত প্রতিটি ক্ষেত্রে বিত্তমান আছে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।