বাংলার জাগরণে অন্যতম এক নাম শিবনাথ শাস্ত্রী। আজ তাঁর জন্মদিবস।
শিবনাথ শাস্ত্রী ছিলেন শিক্ষাবিদ যুক্তিবাদী দার্শনিক বিজ্ঞানমনস্কতার এক অগ্রণী পুরুষ। নারী মুক্তি আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা।

এইসব মনীষা
তমাল সাহা

এই উপসাগরীয় মাটি
এতো উর্বর, এতো সুফলা!
ফসলের বৈচিত্র্য বহমান,শস্য-শ্যামলা।
এ সব মানুষ আসে
কী দুর্বার সৃজনশীল প্রয়াসে!

আজ তোমায় খুব মনে পড়ে।
মদ্যপানের বিরোধিতা করে নেমেছিলে যুদ্ধের আসরে।
এখন যখন শাসকের নয়া প্রকল্প—
মদ পৌঁছে যাক ঘরে ঘরে
মাসিক পত্রিকার নাম–মদ না গরল
এমন কি হতে পারে!
জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে এই বিষ–
তুমি তো সেই কবে বুঝেছিলে।
চেতনা জাগাতে তুমি তখন হাজির জনদরবারে।

নারীরা আসুক আলোয় ফিরে।
নাবালিকার আবার বিবাহ কিসের?
এর আগে নয় কিছুতেই, ন্যূনতম বয়স পৌঁছতেই হবে চৌদ্দ বছরে।
শিক্ষায়, সামাজিক প্রতিষ্ঠায় নারীকে জেতালে তুমি
তোমার দুঃসাহসিক স্পর্ধা দেখলো প্রিয় জন্মভূমি।

তোমার বলিষ্ঠ হাতে
প্রথম বাংলা রাজনৈতিক প্রতিবাদী পত্রিকা– সোম প্রকাশ।
সে লিখে চলে এক সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাস।

তুমি শাস্ত্রীমশাই!
একদিন দাপিয়েছিলে বাংলার প্রান্তর।
তোমাকে কি ভোলা যায়,
অন্তরে জেগে থাকো যুগ হতে যুগান্তর।