বাজারে খুব চালু কথা– আমাকে মুর্গি বানাচ্ছো। দেখুন মানুষ কখন সত্যিই মুর্গি হয়ে যায়, সেই বাস্তব সত্য লিখে যাই আজ কবিতায়
এইভাবে মানুষ মুর্গি হয়ে যায়
তমাল সাহা
এরা এতো গাদাগাদি কেন?
এরা মুরগির বাচ্চা নাকি!
দুরুদুরু বুক, কেন এতো হাকিতাকি?
বাজারে সাপ্লাই হবে, না অন্যকিছু!
গাড়ি যত জোরে পারে দৌড়ায়,
যেন কেউ না নেয় পিছু।
চোখ কচলে চেয়ে দেখি
এরা তো মানুষের সাচ্চা বাচ্চা!
দম আটকে যাবে যে!
এ সময়ে দম বেদম হয়ে যায়
প্রাণে বাঁচাটাই বড়ো হয়ে দাঁড়ায়।
এরা কারা যায়?
কোথায় যায়?
কেন যায়?
এতো খোঁজের হয় কি মানে?
এরা দেশের মানুষ নাকি!
যায় যাক জাহান্নামে।
বুধ অর্থ জানি,
আজ শুভ বুধবার।
মুরগির গাড়ি করে পালায়–
ওরা কি ফেরার?
ওরা ভয় সন্ত্রস্ত পরিবার।
ভারতবর্ষ! তোর লজ্জা হয়না?
তাকিয়ে দেখিস এই দৃশ্য বারবার!
এর নাম ভারতবর্ষ–
মৌসুমী জলবায়ু, উত্তর পূর্ব গোলার্ধের দেশ।
রাতে ঘুমাই, সকালে উঠি
দাঁত মাজি, স্ত্রী আমায়
ধূমায়িত চায়ের পেয়ালা দিয়ে যায়,
চুমুকে চুমুকে সংবাদপত্র পড়তে লাগে বেশ।
গুণে যাই নিহতের সংখ্যা বাড়লো কত
কোথায় কোথায় ছড়ালো আগুন
কটা মন্দির-মসজিদ পুড়লো
জখমের সংখ্যা কত গুণ
কত জন নিখোঁজ, পলাতক…
স্ত্রী এসে বলে আর একবার চা হবে নাকি?
আমার বউ তো হয় নি বিধবা আবার কি!
আমি বৌয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি!
ভয় কাকে বলে? ভয় জিনিসটা কী?
মানুষ কী খুব দূরে যেতে পারে
দাঙ্গাকে দিয়ে ফাঁকি?