অবতক খবর,৩ অক্টোবর: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যেন নাট্যকারের নিপুন হাতে লেখা পর্বভিত্তিক নাটক। তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির রুদ্ধশ্বাস টি-টোয়েন্টি খেলা দেখেছে ভারতবাসী। প্রধানমন্ত্রী থেকে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা টু যোগী আদিত্যনাথ অন্যদিকে একাই একশ মমতা। ২ রা মে ফলঘোষনার দিন সময় যত এগিয়েছে টিম বিজেপির বিজয়রথ একাই বাঘিনীর মত রুখে দিয়েছেন ‘বাংলার নিজের মেয়ে’।
২০০-র গণ্ডি পার করে হ্যাটট্রিকড মমতা, পায়ের মতই চোট পেয়েছেন নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। যে নন্দীগ্রাম ৩৪ বছরের বামদূর্গ ভেঙে মসনদে বসিয়েছিল মমতা’কে সেখানেই দিদির পরাজয়ে এক অদ্ভুত সমাপতন একুশ বিধানসভায়। নাটকীয়তা এখানেও, একদা সেনাপতি শুভেন্দুর কাছেই দিদির পরাজয়৷ সেইসঙ্গে বাংলা দেখল, অভিনব এক ভোট। যেখানে মমতার কারিশমাতেই হ্যাটট্রিক তৃণমূলের; আর নিজের কেন্দ্রেই দিদি পরাজয়। অতএব উপনির্বাচন!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনস্রোতে মুখ্যমন্ত্রীত্ব রক্ষার সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস ভোট এই ভবানীপুর উপনির্বাচন। দ্বিতীয় ইনিংসে, লক্ষ্য শুধু জয় নয়। দীর্ঘ ব্যবধানে জয়ই লক্ষ্য সবুজ শিবিরের। এই ভবানীপুর উপনির্বাচন-ই স্থির করবে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে ‘হাওয়াই চটি’-র ক্যারিশমা দিল্লি দেখতে পাবে কী না?
নন্দীগ্রাম বিধানসভায় এরই মধ্যে আনন্দের ছায়া তৃনমূল এর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই তারা বোমা ফাটিয়ে বিজয় উদযাপন শুরু করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম এর ১নম্বর ব্লক এর ব্লক সভাপতি সদেস রঞ্জন বোয়াল জানান সারারাজ্য জুড়েই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়ে গেছে বাদ নেই নন্দীগ্রাম ও। আরো বলেন মীরজাফর এর উচিত তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে এই মুহূর্তে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।