অবতক খবর,৭ জুন: অমিত শাহ না কি যোগী আদিত্যনাথ? কার জন্য উত্তরপ্রদেশে ডুবল বিজেপি?

কেন সমালোচিত শাহ -ও যোগী ?তবে কি ভাঙছে জোট গেরুয়া শিবিরের ?
এর মাঝেই কি দানা বাধছে অন্য কোনো জল্পনা?

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে এই নিয়ে বিজেপির অন্দরে কার্যত ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরু হয়ে গেল।
বিজেপির সাংসদ, বিদায়ী সাংসদরাই প্রকাশ্যে অভিযোগ তুললেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্দরেই অন্তর্ঘাত হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ ও অমিত শাহ— দুই শিবিরের নেতাদের মধ্যেও পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে তলব করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধরিকে।

উত্তরপ্রদেশে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ৮০টি আসনের মধ্যে ৬২টি জিতেছিল। এ বার বিজেপি মাত্র ৩৩টি আসন জিতেছে। বিজেপির তার থেকেও বেশি মুখ পুড়েছে বারাণসী ও অযোধ্যায়। বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ব্যবধান পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি থেকে দেড় লক্ষের কাছাকাছি নেমে এসেছে। অমেঠীতে কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মা এর থেকে বেশি ব্যবধানে স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছেন। অযোধ্যায় রামমন্দির অর্ধনির্মিত অবস্থাতেই ভোটের আগে উদ্বোধন করে দিয়ে বিজেপি গোটা দেশে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। রামমন্দির যে লোকসভা কেন্দ্রের আওতায়, সেই ফৈজাবাদেই বিজেপি সমাজবাদী পার্টির কাছে হেরে গিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে ,উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের মতো ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও কেন এই ভরাডুবি, যোগী প্রচারে বিশেষ গা লাগাননি বলে অভিযোগ ছিলই। কিন্তু যোগীর ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলা স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে যে সব নেতাদের প্রার্থী করার সুপারিশ করেছিলেন, অমিত শাহ তা খারিজ করে দিয়ে বহু ক্ষেত্রে নিজের পছন্দমতো নেতাদের প্রার্থী করেছেন। ওমপ্রকাশ রাজভড়ের দলের সঙ্গেও শাহ আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেন। যোগী-শিবিরের তাতে আপত্তি ছিল।

অযোধ্যায় বিজেপির হারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আবার যোগীর দিকেই আঙুল তুলছেন। কারণ, অযোধ্যায় মন্দিরের পরিকাঠামোর জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ, পুরনো দোকান ভেঙে নতুন দোকান তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে অযোধ্যার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিপুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই ক্ষোভকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি জাতপাতের সমীকরণের ফায়দা তুলতে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব দলিত পাসি সম্প্রদায়ের নেতা অবধেশ প্রসাদকে প্রার্থী করেছিলেন। তিনিই বাজিমাত করেছেন।

সূত্রের খবর,ইতি মধ্যেই ভাঙ্গন ধরেছে (এনডিএ) জোটে ।একে ওপরের দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবির ।তবে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে মোদির গঠন করা সৈন্য দল ভেঙে দিল শাহ- যোগীর বিবাদ ।