অবতক খবর,১৪ মার্চঃ প্রতি বছরের মতো এবারও ২৫ ফাল্গুন,( ১০ মার্চ ২০২৩) কাঁচরাপাড়ার ভূমিপুত্র কবি ও সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তর জন্মদিন উদযাপিত হল কল্যাণী রথতলা ঈশ্বর গুপ্ত পাঠাগার এবং কাঁচরাপাড়া ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের উদ্যোগে ।

দুই বেলা, দু’টি পর্বে এটি সমাধা হয়। প্রথম পর্বে, সকাল ৯ টায় বুদ্ধপার্ক চৌমাথায় উড়ালপুলের নিচে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয় ঈশ্বর গুপ্তের আবক্ষ মূর্তি। মাল্য ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন পাঠাগারের সভাপতি তথা স্হানীয় কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তী, গ্রন্হাগারিক গনেশ পাল, প্রাক্তন গ্রন্হাগারিক কুমারেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের সম্পাদক রণজয় মালাকার সহ উপস্থিতজনেরা। এরপর সকাল দশটায় ভারতীয় পশু চিকিৎসা অনুসন্ধান সংস্হান কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কবির জন্মভিটায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনাও হয়।

দ্বিতীয় পর্বে, সন্ধ্যা ৬ টায় রথতলা পাঠাগারের দ্বিতলে এই উপলক্ষে আলোচনা হয় এবং , সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী। শুরুতে পরিষদের সহ-সভাপতি মণি ভট্টাচার্য এবং সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন পাঠাগারের প্রাক্তন সভাপতি ড. রামপ্রসাদ পাল। মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিষদের সম্পাদক রণজয় মালাকার। তিনি কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবন ও কবিকৃতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। এরপর বলেন সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়, শিবশঙ্কর দাস, অভিষেক অধিকারী প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গনেশ পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন গৌতম পাল এবং কুমারেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

দুই পর্বের অনুষ্ঠানেই যথেষ্ট জনসমাগম হয়েছিল।

উল্লেখ্য যে, কাঁচরাপাড়া কলেজে কয়েক মাস আগে ঈশ্বর গুপ্তের মূর্তি স্হাপন করা হলেও এদিন সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপক কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। এটা লজ্জার।