অবতক খবর,১ এপ্রিল: আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জেলা কংগ্রেস কার্যালয় সাংবাদিক বৈঠক করে দিদির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন ইন্ডিয়ার জোট তৈরি করেছিলেন আপনি আপনি বলেন কি কারনে সেই জোট ভাঙলেন কার ভয়ে? আরবিন ক্যাজোরিয়াল ইন্ডিয়া জোট ভাঙ্গেনি, হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোট ভাঙ্গেনি তাই তাদেরকে জেলে যেতে হয়েছে।

আপনি খোকা বাবুকে বাঁচাতে ই ডি সিবিআই থেকে খোকাবাবু যাতে রক্ষা পায় তার জন্য আপনি ইন্ডিয়া জোট এনে মোদির দালালি করেছেন সাংবাদিক বৈঠকে বললেন অধীর। আপনারা বলবেন অধীর চৌধুরীর জন্য ইন্ডিয়ায় তোর নামকরণ করেছিলেন তখন অধীর চৌধুরী কোথায় ছিল তখন কি অধীর চৌধুরী আপনার সুনাম করেছিল তখন তো অধীর চৌধুরী আপনার বিরোধিতা করেছিল, করেনি! সব জেনেশুনেও কেন ইন্ডিয়া জোটে কেন আপনি গিয়েছিলেন? তখন তো আপনি নামকরণ করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং রাহুল গান্ধীকে নেতা বলে সম্বোধন করেছিলেন।

তারপরে হঠাৎ বেরিয়ে আসার কারণ কি কি, মানুষ এগুলো সব জানে। অধীর বলেন ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আপনি বেইমানি করেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল করেনি হেমন্ত সরেন করেনি তাই তাদের স্থান জেলে হয়েছে। আর আপনি দালালি করেছেন বলে, আপনার আর খোকাবাবুর স্থান জেলের বাইরে হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বললেন অধীর। উত্তরবঙ্গের চা সুন্দরী প্রকল্পে কি ধরনের বাড়ি করেছে একবার আপনারা গিয়ে দেখে আসুন বললেন অধীর। তিনি বলেন বাড়ি কদর্য নাম সুন্দরী। দিদি সবকিছুই জানে, দিদির মুখে কোন ট্যাক্স লাগাতে পারবো না আমরা বললেন অধীর। তিনি আরো বলেন কোন ৪০০ মি সুন্দরী বাড়ি পেয়ে খুশি হয়েছে তার তালিকাটা আমরা একবার দেখতে চাই। দিদি এইটা প্রকাশ করে দেক । যে এত চা বাগানের শ্রমিক কে আমি ঘর দিয়েছি। অধীর আর সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানতে চান চা বাগানের শ্রমিকদের কি জমি অধিকার আছে?

লক্ষীর ভান্ডার সম্বন্ধে তিনি বলেন তিনি ভোটের আগে এখন ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ভোট চাইছেন, রাহুল গান্ধী অনেক আগেই ঘোষণা করেছেন যদি কংগ্রেস রাজত্বে আসে তাহলে প্রত্যেক বাড়ির মহিলারা বছরে এক লক্ষ টাকা করে পাবেন, পুরুষরা এক লক্ষ টাকা এবং একটা সরকারি চাকরি। আর দিদি তো ভোটের আগে ৫০০ টাকা করে বাড়িয়ে ভোট চাইতে আরম্ভ করলেন।