অবতক খবর,২১ জানুয়ারি: ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথ ছেড়ে আধ্যাত্মিকতার পথের সাথে যুক্ত হলেন হারিয়ানার বাসিন্দা অভয় সিং। এই খবরটি সামনে আসতে গোটা বিশ্ব সম্বিত। বর্তমানে বিজ্ঞানের সময় একজন আইআইটি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠবে সাধক তার বাসস্থান হবে খোলা আকাশের নিচে আবার কখনো শ্মশানে, আবার কখনো নদীর ধারে ,কিংবা পাহাড়ের কোনো চূড়ায় কথাটি শুনতে অবিশ্বাস্য এবং হাস্যকর মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তারপর কানাডায় ৩৫ লক্ষ টাকার চাকরি ও করতেন । তবে হঠাৎ অর্ধাতিকতার পথে কেন? তিনি জানিয়েছেন এর জন্য দায়ী তার পরিবার ,কারণ ছোটবেলা থেকে বাড়িতে পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে ছিলেন অসুস্থ এবং তার বয়স যখন দশ বছর ছিল তখন তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেছেন।

শুধু তাই নয়, নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য তিনি সাধনার পথে নেমেছিলেন এবং অভয় সিং এর পরিবার সমাজের কাছে তাকে পাগল সাব্যস্ত করেন। এই কারণে তাকে ঘর ছাড়া হতে হয়, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো দেড় বছর কেটে যাওয়ার পরও তার পরিবারের তরফ থেকে এখনও খোঁজ নেয়নি। তবে এই নিয়ে অভয় সিংয়ের কোন আফসোস নেই তিনি বলেছেন মৃত্যু কখনো আসতে পারে তার কোন ঠিক নেই তাই যতদিন বাঁচবো আনন্দে কাটাবো।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বাড়িতে মা-বাবার কথা মনে পড়ে? প্রশ্নের উত্তরে অভয় সিং বলেন তার কাছে মা-বাবা মানে মহাদেব এবং তিনি জানিয়েছেন সে এই শান্তির খোঁজে প্রয়োগরাজের মহাকুম্ভ যুক্ত হয়েছেন।

ছোটবেলা থেকে এখনো পর্যন্ত তার উপর দিয়ে বয়ে যাব এই ঝড়ের ঝাপটা এখন তার সাথে গোটা বিশ্ববাসীর মনে দুঃখের দাগ কেটে দিয়ে গেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় এটাই সংবাদমা মাধ্যমে এই খবরটি ছড়াতে তার পরিবারের লোক এখনো তার সাথে যোগাযোগ করার কোন রকম চেষ্টা করেনি।

আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে বরাবরই বাধা হয়ে উঠে দাঁড়ায় সমাজের কিছু তৈরি হওয়া নিয়ম এবং সমাজের বন্ধনে বেঁধে যায় অভয় সিংয়ের মতো মেধাবীরা যারা হয়তো মুক্ত হতে চায়। আজ অভয় সিংয়ের আই আইডি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রী এবং ৩৫ লাখ টাকার বিদেশে চাকরি সবকিছু থাকা সত্বেও তিনি বেছে নিয়েছেন সন্ন্যাস জীবন কিন্তু কেন? কারণ সবকিছু থাকা সত্ত্বেও তার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটারই ছিল না তোর কাছে সেটা হলো শান্তি তাই এই শান্তির খোঁজে আছে বহিরাগত পথ সে বেছে নিয়েছে।