অবতক খবর,ইসলামপুর,১২ জানুয়ারি: পারদ নিম্নমুখী হতেই ঘন কুয়াশায় ঢাকছে উত্তর দিনাজপুর জেলা। এরই জেরে আলুতে ধসা রোগ দেখা দিচ্ছে। এতে ইসলামপুর মহকুমার বহু চাষি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে মহকুমা কৃষিদপ্তর চিন্তিত। দপ্তরের আধিকারিকরা মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। ইসলামপুরের আলু চাষি প্রভাত সিংহ বলছেন, আলুতে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারপরও ধসা ফিরছে না।

আলু চাষে বিঘা প্রতি ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে চাষ করেছি। ধসা রোগ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। একই বক্তব্য। চাকুলিয়ার আলুচাষি জীবন মণ্ডল বলছেন, আমার জমিতে এখনও ধসা রোগ লাগেনি। তবে ঠান্ডায় আলুগাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রোগের পর্যবেক্ষণ করছেন।

শুক্রবার ইসলামপুর ব্লকের পণ্ডিতপোঁতা ২ পঞ্চায়েতের এলাকার কালনাগিনসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেন ইসলামপুর মহকুমার যুগ্ম উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শ্রীকান্ত সিনহা । যুগ্ম উপকৃষি অধিকর্তা বলেন, কুয়াশা বেশি পড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে আলুর গাছের ওপর জল জমে। থাকে। ফলে ছত্রাকের রেণু পড়ে জমে থাকে। এতে জলদি ধসা ও নাবি ধসা রোগ শুরু হয়ে যায়। শুরুতে এই রোগ বোঝা যায় না। গোটা খেতে ছড়িয়ে পড়ার পরই বোঝা যায়। কিন্তু সেসময় ওষুধ দিলেও কাজ হয় না। চাষিদের উচিত, ধসা রোগ না হলেও নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করা। স্বাভাবিক ঠান্ডায় ৭-১০ দিন অন্তর এবং খুব বেশি কুয়াশা পড়লে ৩ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে। একই ওষুধ বারবার স্প্রে করা যাবে না। ওষুধ বদলে স্প্রে করতে হবে। এই সময় জমিতে ভিটামিন দেওয়া যাবে না। চাষিভাইরা আমাদের দপ্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ইসলামপুর গোয়ালপুকুর এক ও দুই এবং করণদিঘী ব্লকে মোট ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।