জীবনের এক দুঃখতম বিষাদগাথাঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

আমার বড়মা চলে গেল
তমাল সাহা

আমার দুচোখ কানায় কানায় পূর্ণ জল
আমার বড়মা চলে গেল
নৈহাটির গাঙ্গেয় পারে দাঁড়িয়ে দেখি
হুহু করে নদীর জল আরো বেড়ে গেল

আমার বড় মা চলে গেল
একশো ভরি সোনা তিনশো ভরির রুপোর গয়না কার কাছে রেখে গেল?
এবার আমার বড়মার একশো বছর পূর্ণ হলো
আরও কত সোনাদানা মুদ্রা মোহর গয়নাগাটি পেলো!

এবার আমার বড়মার খুব দুঃখ হলো
এক মন্ত্রী জেলঘরে মাটিতে শুয়ে আছে দেখলো
টিটাগড়ে দুটো শ্যুট আউট দেখলো
জগদ্দলে হাঙ্গামা দেখলো
জয়নগরে একটা পিস্তলে হত্যা,একটা পিটিয়ে খুন
থানায় একটা পিটিয়ে মারা
দলুয়াখাকি গাঁয়ে নতুন ধরণের বাড়িঘর পোড়ানোর দেওয়ালি দেখলো
বিসর্জনের পথে ডায়মন্ডহারবারে একটি লাশ পড়ার শব্দ শুনল

আর আমার একটা দুঃখ খুব বড়
যত বড় বড় ভক্ত তারা নোংরা হাত নিয়ে তোমার পাশে হয়েছিল জড়ো
তুমি বড় জাগ্রত বললে না কিছুই
এসব দেখে শুনে আমি তোমার প্রতি খুবই ক্রুদ্ধ হই

আমার বড়মা খুব খুব ভীষণ জাগ্রত ছিল
পুলিশের পাহারায় ঘেরা নিরাপত্তায় বাঁশির শব্দ শুনতে শুনতে আমার বড়মা চলে গেল

আমার বড়মা খুব জাগ্রত ছিল
হাত থেকে খড়্গখানি খসে পড়ল
চার হাতে তিনটি চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল

আমার চোখ থেকে
দরদর করে জল পড়তে লাগলো
কবিতা আঁচল দিয়ে আমার চোখ দুটি মুছিয়ে দিল