অবতক খবর,১৯ ডিসেম্বর: অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে কিছু কিছু মিডিয়ার বিরুদ্ধে তিনি বলেন যে, তারা আমার বক্তব্যেকে বিকৃত করে প্রচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলাম আগামী দিন যদি বাংলাদেশের মৌলবাদীরা যদি প্রশ্রয় পায় তারা যদি বাংলাদেশের ক্ষমতার স্বাদ পায় সেইসব মৌলবাদীরা পশ্চিমবঙ্গের দিকে হাত বাড়াবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ মালদা দিনাজপুর এখানে আমরা যাদের সংখ্যালঘু বলি তারা এই জেলায় সংখ্যাগুরু। তিনি এ বিষয়ে বলেন এই মুর্শিদাবাদের যেখানে আমি বসবাস করি এখানে মুসলিম ৭৩ শতাংশ, তাই সে সমস্ত মৌলবাদীদের আগামী দিনে এই মুর্শিদাবাদ মালদা এবং দিনাজপুরে তারা দাবি করবে। এগুলো বাংলাদেশের এক্সটেন্ডেড বাংলাদেশ।
অধীর বলেন, আমি এ কথা বলছি এ কারণে আমরা দেখেছি রাজনীতির অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইরাক সিরিয়া এই এলাকা এইখানে জন্ম নিয়েছিল আইসিস। তারা জন্ম নিয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের লক্ষ্য ছিল তাদের সাম্রাজ্য বাড়ানো। তাদের সাম্রাজ্যের নাম খালিফের সাম্রাজ্য। নতুন করে তারা বলতে থাকলো আমরা খালি ফ হচ্ছি।ইসলাম ধর্মে খালিফ হওয়ার কোন গল্প নেই, এইটা হচ্ছে মৌলবাদের চরিত্র ।একই রকম ভাবে বাংলাদেশে যদি আজকে মৌলবাদকে রুখা না যায় সেই মৌলবাদ আগামী দিনে তারা দাবি করবে যেখানে মুসলমান বেশি সেটাই আমাদের রাজ্য এক্সটেন্ডেড বাংলাদেশের কথা তাদের মুখে আসতে পারে এটা আমার এখনো আশঙ্কা বললেন অধীর।
এই মুর্শিদাবাদ জেলা, দুদিন পর স্বাধীন হয়েছিল সেদিনও মৌলবাদীদের দাবি ছিল মুর্শিদাবাদ পাকিস্থানে অন্তর্গত কারণ এখানে মুসলমান সংখ্যা বেশি ছিল। আজও এখানে মুসলমান সংখ্যা বেশি তাই সেই শক্তি যখন নতুন করে বাংলাদেশে উত্থান ঘটাচ্ছে সেই শক্তি যখন বাংলাদেশে উজ্জীবিত হচ্ছে। সেই শক্তির প্রকাশ যখন পাওয়া যাচ্ছে, এই মৌলবাদকে যদি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান না করে, তাহলে আগামী দিনে তারা অবশ্যই লক্ষ্য করবে পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যেখানে মুসলমান বেশি সেগুলি তারা এক্সটেন্ডেড করার চেষ্টা করবে এটা স্বাভাবিকভাবেই বলার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু যারা মিডিয়ায় বলছেন তারা সবই বুঝছেন কিন্তু বিকৃতি করলে তাদের সুবিধা হয় তাই বিকৃত করে একটা ভয়-ভীতির বাতাবরণ তৈরি করে আমার নামটা জড়ানো হচ্ছে বললেন অধীর। তিনি সেইসব মিডিয়াকে বলেন, আপনাদের যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন আমি তার উত্তর দেব।