এই উপকূলে দুর্গাদের জন্য এখন’বেটি বাঁচাও’স্লোগান তৈরি করতে হয়। দুর্গারা এখন দুর্গতা।
আমার দুর্গা/ তমাল সাহা
এক) দুর্গার শাড়ি
কাশবন পেছনে রেখে সোনাডাঙ্গা মাঠ পেরোলেন।
খরজুনা বিলে ফুটে আছে লাল শালুক।
রানিতলা হয়ে কামদুনির ভেড়ির পাশে
ক্ষেতের আল ধরে হাঁটছেন তিনি।
দেখলেন শান্ত দিঘিতে
পাতা সরিয়ে সরিয়ে উন্মুখ পদ্মকলি
তুলছে মালাকর।
পথেই শুনতে পেলেন
নিশ্চিন্দিপুরে ঢুকেছে মহিষাসুর।
দুর্গা কি করছে কি জানি?
বহুদিন পর
হরিহর ফিরছেন বাড়ি,
হাতে থলি,
তাতে রয়েছে দুর্গার শাড়ি।
দুই) শবসাধনা
পটুয়ার চোখে জল,
মেরাপ শিল্পী বসে আছে ঘরে।
এবার পুজো হবে না কোনো মন্ডপে।
চেয়ে দেখো!
আকাশে এখনও ভেজা মেঘ
ফোটেনি কোথাও কাশ।
উপকূল-উপত্যকা জুড়ে
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কেঁদে চলে
বিস্তীর্ণ বাতাস–
একের পর এক
একান্ন পীঠ জুড়ে পড়ে আছে
ধর্ষিতা মায়ের লাশ।
পুরোহিত দিয়েছে নিদান—
পুজো হয়েছে অনেক,
চলো করি,অন্য আরাধনা।
কায়াহীন উমা আসবে এবার,
জ্বলবে একশ আটটি মশাল—
সারারাত চলবে শব সাধনা।