আজ চুম্বন দিবস।
চুম্বনে আমাদের নিজস্ব অধিকার। পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক। পৃথিবী চুম্বকীয় আকর্ষণেই মানুষকে টেনে রাখে। এবার শুনুন
আমরা চুম্বনে যাবো
তমাল সাহা
কে, কাকে, কবে,কোথায়
চুম্বন করেছিল গোপনে,
পেয়েছিল অনাস্বাদিত স্বাদ।
আমি তো প্রকাশ্য
চুম্বন চাই ঘোষিত হোক
ভালোবাসার উজ্জ্বল জেহাদ।
ওষ্ঠের ভিতরে ওষ্ঠ,
গভীরে যদি না থাকে হৃদয়,
তবে দ্বৈত সত্তায়
কোন অনুভব করলে বিনিময়—
চুম্বন বিজয়ী হয়?
কিছু চুম্বন গোপনে থাকুক
অন্তর্লীন থাকুক জৈবিক যৌনতা।
বাকি সব রৌদ্র-জল-বায়ু মাখুক,
সাহসী প্রত্যয়ী হোক বাড়াক দৃঢ়তা।
রাস্তায় নামো, মিছিলে হাঁটো।
মানুষের দিকে শত সহস্র
চুম্বন দাও ছুঁড়ে—
সেই চুম্বন শিরোপা করে
পৃথিবী সূর্য প্রদক্ষিণ করে।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ,
সেও এক বিস্তৃত চুম্বন।
বিশ্বজুড়ে সেই আকর্ষণেই
নর নারীর চুম্বনে অবগাহন।
চুম্বন স্হবির নয়,
ছুড়ে দাও পরিযায়ী বাতাসে।
সশব্দ চুম্বন রটে যাক দিগ্বিদিক।
মানুষ, মানুষেরা এসে দাঁড়াক
তোমার পাশে।
প্রকৃতির সৌন্দর্য চুম্বনে উন্মুখ
পৃথিবীর মুখ।
প্রদক্ষিণরত পৃথিবী সূর্যচুম্বনে পায়
কোন সৌরজাগতিক সুখ?
পৃথিবী এখন অসহায়, অসুস্থ শয্যায়।
তার নিরাময়ে চুম্বন বড় প্রয়োজন।
চুম্বনকে আরো নিকটে আনো,
করো তার বিশাল আয়োজন।