অবতক খবর,৯ অক্টোবর: গত ৮ অক্টোবর বীজপুর জুড়ে সিবিআই সিবিআই রব। কারণ রাজ্যের ১২টি জায়গার পাশাপাশি এদিন বীজপুর বিধানসভার দুই পৌরসভা অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া পৌরসভা এবং হালিশহর পৌরসভার দুই প্রাক্তন পৌর প্রধান যথাক্রমে সুদামা রায় এবং অংশুমান রায়ের বাড়িতে সাত সকালেই হানা দেয় সিবিআই। দীর্ঘ তল্লাশি চালানোর পর সিবিআই আধিকারিকরা দুই জায়গা থেকেই বেরিয়ে যান কিছু নথিপত্র নিয়ে। তবে যাওয়ার সময় বলে যান দুই প্রাক্তন পৌরপ্রধানই তাদের সহযোগিতা করেছেন।
অন্যদিকে বীজপুরের এই দুই পৌরসভার দুই প্রাক্তন পৌর প্রধানের বাড়ি থেকে সিবিআই বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান তারা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতেও করবেন।
পরবর্তীতে এদিন হালিশহর পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান অংশুমান রায় নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন,”সিবিআই সাতসকালে বাড়িতে আসতেই আমার স্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া -” যাঃ! আজ তাহলে কাজের দিদি আসবেনা!”ধন্যবাদ তাদের,যারা সারাদিন ধরে আমার কুশল সংবাদ নিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ মাননীয় বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং স্নেহাস্পদ পৌরপ্রধান শুভঙ্করকে। মধ্যরাতে সশরীরে বাড়িতে এসে বার্তা দিয়ে গেলেন, দল সাথে আছে। বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। আজ থেকে আবার সক্রিয় হলাম। তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।”
অর্থাৎ দেখা যায় ৮ অক্টোবর রাতেই বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ প্রাক্তন চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে যান।
অন্যদিকে আজ নয় অক্টোবর সকালে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদামা রায়ের বাড়িতে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। জানা যায় তার পাশে থাকবেন বলেও তাঁকে আশ্বস্ত করে গেছেন।
এদিকে জানা গেছে সিবিআই সুদামা রায়ের বাড়ি থেকে একটি আলমারির তালা ভেঙে কিছু নথিপত্র নিয়ে গিয়েছেন। তালা খোলার চাবি না পাওয়ার কারণে আলমারির তালা ভেঙে ফেলা হয়।
কাঁচরাপাড়ার যে পৌর কর্মচারীর পাল্লাদহের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে যে খবর চাউড় হয়েছিল, জানা যায় সেই বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেই কর্মচারীর সঙ্গে সিবিআইয়ের দেখা হয়নি। আরো জানা গেছে, এই কর্মচারী পাল্লাদহে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তার আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদে।