এগিয়ে বাংলা

উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাকে পেছনে ফেলে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর এগিয়ে গেল আগে।
সেখানে পৌষ সংক্রান্তির দিন কংসাবতী নদীর তীরে রাম জেগে উঠলো উদ্বোধনের ভিড়ে! জয়শ্রীরাম

এবার আত্মধিক্কারের লেখা লিখি। কবির কথা শুনুন।

আত্মধিক্কার
তমাল সাহা

বিশাল বিস্তৃত ভারতীয় এই উপকূল।
তাকিয়ে দেখি উজ্জ্বল প্রস্ফুটিত দুটি ফুল।
একটি ঘাসফুল, অন্যটি পদ্ম–
লিখি সোজাসুজি।
কলম অক্ষর সাজায়,
নেই কোনো ভুল বোঝাবুঝি।

দুটি ফুলই গন্ধহীন,
একটির মৃণালে কাঁটা।
ছোট বড় তাই কি?
দুটি ফুলই ধর্মের পা-চাটা।

দুটি ফুলই এ ওর
পাল্টাধর্মের বিষ ছড়ায়
পদ্মের বেলা বড় করে লিখি—
ঘাসের বেলা
কলমখানি স্তব্ধ,পথ হারায়।

ঘাসফুল খুব কাছে,
পদ্ম একটু বেশি দূরে।
কবিও আঙ্কিক,নিরাপদ
দূরত্বের হিসেব করে।
গেরুয়া বিরুদ্ধ তলোয়ার হাতে কবি,
ঘাসের বেলায় নীরব, ভীরু হয়ে পড়ে,
সবুজাস্ত্র নিয়ে স্বৈরতন্ত্রী ঘাসফুল
যদি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে!

কবি ছান্দসিক,পংক্তি মাত্রা
শব্দচয়নে তার বড় উচ্চারণ।
এক ফুলের ভোটকাব্য লিখে
কবি কাদের পক্ষে চলে যান,
পদ্মের বেলায় ঠেকাতে
হিংস্র আক্রমণ?

কবিও বহুরূপী থাকে,
ধর্মকে পণ্য করে নিজের
কবিতা সাজায়।
দেখো, আমি নিরপেক্ষ,
আমার কোনো পক্ষ নেই,
মানুষই আমার লক্ষ্য।

বাড়ির পাশে যখন
হামলে পড়ে স্বৈরতন্ত্র,
গালে হাত, ভাবেন কবি,
এইবেলা চুপ থাকি,
বন্ধ রাখি কলমযন্ত্র।

ভিয়েতনামে যুদ্ধ,
কিউবায় লড়াই,
রাশিয়ায় অঝোর ধারাপাত।
এখানে নিরাপদ আমি
মাথায় ধরি বিশাল ছত্র।
পাড়ায় যখন রাষ্ট্রীয় হামলা
নেমে আসে তখন চুপ আমি
যতই বলি অসির চেয়ে মসী বড়
ভোঁতা হয়ে যায় কলম অস্ত্র।

আমি বজ্জাত কবি,
লিখে যাই যত ছাইপাঁশ।
বড় মানুষ এড়াই,
কম বেশি থাকি
ছোট মানুষের আশপাশ।
এইসব গা-বাঁচানো লেখা,
কবিতা না হয়ে উঠুক
নিশ্চিত পাচ্ছে
পোস্টারের রূপরেখা।

লোকালে চুপ
ন্যাশনালে নিশ্চুপ
আমি কবি ইন্টারন্যাশনাল।
এটাই নিরাপদে কবির চলার পথ
এ পথেই সহজে চালানো যায়
বঙ্গভূষণ জয়ী কবিতার রথ।