আজ মহান শিক্ষক দিবস। ছোট বড় যার কাছে যা শিখেছি তারাই আমার শিক্ষক। প্রণাম নেবেন সকলে।

সমাস শিক্ষা

তমাল সাহা 

সম্মান দিচ্ছি বললেই কি

সম্মান দেওয়া যায়?

সম্মান কি কোন বস্তু নাকি?

সমাবেশ ডেকে হাতে হাতে তুলে দিলেই হল!

কে কাকে মান দেওয়ার যোগ্য

সে শুধু রবীন্দ্রনাথ জানে।‌

আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন ‘মানী’ কবিতায়–

মানী এবং মানদাতা কিভাবে হওয়া যায়।

একটি পুষ্পস্তবক, একটি মানপত্র, একটি শাল, এক প্যাকেট মিষ্টি অধিকন্তু এক বস্তা বিশেষ বইয়ের উপহার।

এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে এখন–

শিক্ষক দিবসের সম্মান।‌

তুমি যে অধ্যাপকটিকে বেধড়ক মারলে,

জগটি ছুড়ে যে অধ্যাপিকার ঠোঁট থেকে ঝরালে রক্ত

তুমি যে শিক্ষিকার ব্লাউজটি ছিঁড়ে ফালাফালা করে দিলে,

রাত্রির অন্ধকার ডেকে এনে

তোমার প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের

লাঠিপেটা করলে,

তারা তো নিশ্চিত অন্যায় করেছিল!

তারা সম কাজে সম বেতন দাবি করেছিল—

শিক্ষকদের পক্ষে এটা নিশ্চিত অন্যায় কাজ।

তারা ক্লাসের পঠনপাঠন বন্ধ করে কেন আন্দোলনে যাবে?

এদের সম্মান দেওয়ার মানে কি?

এরা কি সম্মান পাওয়ার যোগ্য?

এই দুষ্কৃতী শিক্ষকদের জন্য

শিক্ষক দিবস পালনের কোন মানে হয় না।

যদি দিনটি পালিত হয় তবে সেটি

একটি রাষ্ট্রের পক্ষে অশুভ দিন।

উত্তর পূর্ব গোলার্ধের এই দেশে বঙ্গোপসাগরীয় এই নোনা হাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষা সম্বন্ধে কোনো ধারণা আছে কি? প্রশ্ন তুলল বাতাস।

আজ মহান শিক্ষক দিবস।

ধন্য হউক এই সেপ্টেম্বর ‌মাস।

এসো,শেখাই নতুন সমাস।

শিক্ষক লাঞ্ছিত দিবস=শিক্ষক দিবস– মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।