নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ইসলামপুর :: জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চরম আতঙ্ক তৈরি হলো এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম আকাশ মালাকার। বয়স চৌদ্দ। বাড়ি ইসলামপুর থানার শান্তিনগর এলাকায়। শুক্রবার রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর তার মৃতদেহটি মর্গে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত না করেই শনিবার বিকেলে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই মৃতদেহর ময়নাতদন্ত ইসলামপুরে হবে না। তাকে রায়গঞ্জে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শান্তিনগরের বাসিন্দাদের মধ্যে। তাদেরকে রীতিমতো আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়।

মৃতর দাদু স্বপন দত্ত জানান, শুক্রবার জ্বর এবং মাথা ব্যাথা নিয়ে তার নাতিকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এখানে রেখে দিয়ে পরের দিন বিকেলবেলা রায়গঞ্জে নিয়ে যেতে হবে বলা হয় তাদের। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ইসলামপুর ক্ষুদিরাম পল্লী সুকান্ত স্মৃতি বিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত ওই পড়ুয়া। বিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী তথা এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ মজুমদার বলেন, যদি রায়গঞ্জে ময়নাতদন্ত হয় তবে সেই বডি কেন ইসলামপুরে আটকে রাখা হলো। যদি সন্দেহ থাকে এটি একটি পজেটিভ কেস হতে পারে তবে সেই দায়িত্ব পুলিশ ও প্রশাসনকে নেওয়া উচিত। কিন্তু তা না নিয়ে পরিবারকেই বলা হচ্ছে ডেড বডি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এতে কতটা সুরক্ষিত থাকবে বিষয়টি। তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি যদি সন্দেহ হয়ে থাকে এটি একটি পজিটিভ হলেও হতে পারে তবে এই মুহূর্তে গোটা পাড়া কে সিল এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন ।কারণ যদি এটি কোন পজেটিভ কেস হয় তবে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে বলে তিনি মনে করছেন।
ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ইসলামপুর মর্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন এক্সপার্ট নেই এবং ওই পড়ুয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাই সেটিকে রায়গঞ্জে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার করবার জন্য।
উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, অন্য কোন রোগেও ওই রোগীর মৃত্যু হতে পারে এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বলছে বডিতে ভাইরাস নাও থাকতে পারে। তবুও এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।









