অবতক খবর,২ জুলাই: আকাশে চলছে বর্ষার আবহাওয়া, এদিকে ওদের মাথার উপর নেই পাকা ছাদ,খড় ও কঞ্চি দিয়ে বানানো ঘড়েই দিন কাটে পরিবারের তিন সদস্যের,তার উপর পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ব্যাক্তি আক্রান্ত দূরারোগ্য ব্যাধিতে। এমন অবস্থায় চরম কষ্টে দিন কাটানোর কথা গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান কে জানাতেই ফের মানবিক রূপ দেখা গেলো গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা বিবির।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা বিবি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানের দায়িত্বে নিয়োজিত হবার পর থেকেই একের পর মানবিক ভূমিকার কথা প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও।
নিজে মুসলিম হয়েও কখনো দূর্গা পূজায় নিজের অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য নতুন পোষাক হাতে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুজোর উপহার দিয়ে আসা তো কখনো “এক ফোনে প্রধান” নামক কর্মসূচি গ্রহণ করা। আর এবার সেই এক ফোনে প্রধান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক অসহায় আদিবাসী পরিবারের পাশে থাকতে দেখা গেল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা বিবিকে।
জানা গেছে এদিন পঞ্চায়েত প্রধানের “একফোনে প্রধান” কর্মসূচিতে দেওয়া নাম্বারে ফোন করেন সুন্দরপুরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জাওহাঁড়ি গ্রামের আদিবাসী এই পরিবার এবং তারা জানান তাদের মাথার উপর বৃষ্টি পড়ছে তাদের খাওয়ার জন্য খাদ্য সামগ্রী নেই বর্তমানে তারা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে এক কথায় অনাহারে দিনযাপন চলছে তাদের। এই কথা শুনেই সুন্দরপুর পঞ্চায়েত প্রধান শাহিনা বিবি বর্ষার বৃষ্টিকে রীতিমতো উপেক্ষা করে , অসহায় পরিবারের ফোনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শাহিনা বিবি তাদের হাতে তুলে দেন এক মাসের খাদ্য সামগ্রী আপাতত বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দেওয়া হয় ত্রিপল এবং দ্রুত পাকা বাড়ির আশ্বাসও দেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তার সঙ্গে ওই পরিবারটি যাতে কোনরকম সমস্যায় না পড়ে সেই জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সব ধরনের আশ্বাস দিয়ে যান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
আর প্রধানের এমন ভূমিকায় একদিকে যেমন খুশি ওই আদিবাসী পরিবার ঠিক তেমনি এলাকার প্রধানকে এমন মানবিক রূপে পেয়ে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা জানাচ্ছেন সাধুবাদ।