অবতক খবর,১৪ নভেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি নৈহাটিতে সাড়া ফেলে দেওয়া বড়মা দর্শন বা পরিদর্শনে আসছেন। তিনি সরকারিভাবে কোনো পদে নেই। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি এবং সাংসদ।

তিনি আসবেন শুধু এই কারণে ১৩ নভেম্বর রাত থেকেই বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে। পানপুর থেকে ভাটপাড়া পর্যন্ত এই বিস্তীর্ণ রাস্তা যেখানে ভাঙচুর অবস্থায় ছিল সেসব তুরন্ত গতিতে মেরামতি হয়ে চলেছে। পূর্ত দপ্তরের ভাষায় এই সংস্কারকে বলা হয় প্যাচ ওয়ার্ক অর্থাৎ রাস্তার ভাঙা জায়গাগুলিতে তালি মারা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাস্তা কোনো কারণে অশুদ্ধ হয়েছে কিনা জানা নেই,তবে পানপুর থেকে ভাটপাড়া পর্যন্ত রাস্তা পুরোপুরি ধোলাই সাফাই করা হচ্ছে। এই কারণে কত অর্থ ব্যয় হবে তাও জানা নেই।

তবে স্থানীয় অধিবাসীরা এতে অত্যন্ত খুশি। কারণ এতদিন ধরে রাস্তা মেরামতি হচ্ছিল না, ভাঙচুর অবস্থায় পড়েছিল। রাস্তায় নোংরা আর্বজনা ছিল, সেগুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার কারণে অন্তত পক্ষে তারা একটি পরিষেবা পাচ্ছে। এইজন্য তারা অত্যন্ত খুশি।

অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন,চক্ষু লজ্জা শরম কারো কিছু নেই। একজন দলীয় নেতা আসবেন সেই কারণে এত অর্থ ব্যয় করার কারণ কি? রাস্তা মেরামতি করা হচ্ছে,এটা দেরিতে হলেও ভালো। কিন্তু জনগণ এই পরিষেবা থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন কেন,এই প্রশ্ন তারা তুলছেন। অর্থাৎ যেসমস্ত রাস্তা অতিক্রম করে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাস্তায় যদি মেরামতির কাজ দ্রুত হারে হয় এবং জনগণ পরিষেবা পায়,তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ভাঙচুর রাস্তা রয়েছে সেইসব অঞ্চল দিয়ে জনস্বার্থে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিলম্ব না করে অর্থাৎ অবিলম্বে সফর করা প্রয়োজন। এতে জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে,এতে দলীয়ভাবে ভোটের বাজারে তৃণমূল দল সুবিধা পাবে। এমনই তির্যক সুর বেরিয়ে আসে তাদের কন্ঠ থেকে।