অন্তর্বাস নেই
তমাল সাহা

আমাদের কবিতা সব পারে
আমদের কবিতা কোনো ব্যাকরণ নেই
বাইরে থেকে অন্দরে, অন্তরে ঢুকে পড়ে
আমাদের কবিতা কোথায় নেই
ধানের শিশির বিন্দুতে, আকাশের মেঘে
অরণ্য নদী সমুদ্র পাহাড়ে।
কলে কারখানায়, ক্ষেতে খামারে
আমাদের কবিতা রীতিমতো ঢুকে পড়ে

আমাদের কবিতার
কোনো নিয়মের বালাই নেই
আমাদের কবিতা হাট বাজার থেকে শুরু করে শপিং মল, বিউটি পার্লারে যায়
ঘর বারান্দা, জলের বালতি হাতে
তকতক করে মোছে
রান্নাঘরে সম্ভারের ঘ্রাণ, ভাতের গন্ধ ম ম করে কবিতার হাতে

আমাদের কবিতা
শহরের শাওয়ার-বাথটব বসানো স্নানঘরে শুদ্ধস্নান সারে রবীন্দ্র গানে
আবার খিড়কির দরজা খুলে গাঁয়ের পুকুরে ডুবস্নান দিতে পারে
ঘরে ফিরে আসে গামছার আড়ালে জলেভেজা শরীরে

আমাদের কবিতার
সংবিধানের কুছ পরোয়া নেই
আমাদের কবিতা সরকারের ভন্ডামি
রাষ্ট্রীয় বেলেল্লাপনা তুলে ধরে
আমাদের কবিতা মিটিংয়ে মিছিলে যায়, স্লোগান দেয়, বুলেটে ঝাঁঝরা হয়
রক্তাক্ত শরীরে পড়ে থাকে সরব
অ্যাসফল্টের রাস্তার ওপরে

আমাদের কবিতা অন্ত্যমিল
পদ্যছন্দ নির্মাণ করে
করতে করতে গদ্য থেকে প্রবন্ধ হতে চায়
আমাদের কবিতার অন্তর্বাস নেই
সে সব দেখাতে চায়

কবিতা বলে,
আমি সর্বত্র উথাল পাথাল হাওয়ায়।