অবতক খবর,২৬ সেপ্টেম্বর,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান: লোকসভা ভোটের হারের পরই প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।অবশেষে তাকে সরিয়ে শুভঙ্কর সরকারকে বাংলার নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দায়িত্ব দিলেন সর্বভারতীয় জাতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকাজুর্ন খার্গে।
জানা গেছে লোকসভার বিরোধী দলনেতার রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শুভঙ্কর সরকার। রাজনৈতিক মহলের অনুমান বঙ্গে সংগঠন দুর্বল কংগ্রেসের ভার সামলাতে ও তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের সমীকরণ ঠিক রাখতেই শুভঙ্কর সরকারের উপর আস্থা রাখল দিল্লির হাই কমান্ড। এতদিন বঙ্গে কংগ্রেসের ভার সামলে এসেছেন পুরোপুরি তৃণমূল বিরোধী অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূলের অন্যতম বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন তিনি তার নেতৃত্বে বঙ্গতবটেই কেন্দ্রে ও তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধ প্রকাশ্য এসেছিল । তবে জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব ভালো বোঝেন রাহুলও সোনিয়াগান্ধী।
তাই বঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভূমিকায় খুশি ছিল না দিল্লি। এই অবস্থায় অধীর কে সরিয়ে নরমপন্থী শুভঙ্কর কে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়ে মমতার মন ভেজানোর চেষ্টা হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কিন্তু কে এই শুভঙ্কর সরকার জানা গেছে সেভাবে প্রচারের আলোয় না এলে ও দীর্ঘ বছর ধরে নানান রাজ্যে কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন শুভঙ্কর সরকার ২০২৪ সালের ৩০ শে আগস্ট সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন শুভঙ্কর সরকার, এর আগে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ও মিজোরাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির স্টেট ইনচার্জ এর দায়িত্ব সামলান তিনি ।
এবার সেই শুভঙ্কর সরকারকেই বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিলেন মল্লিকার্জুন খার্গে। বাংলার ভাঙতে থাকা কংগ্রেস সামাল দিতে সেখানে নরমপন্থী শুভঙ্কর সরকার তৃণমূলকে না চটিয়ে দলকে শক্তিশালী করার কাজ বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২৬-এর বাংলায় পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন তার আগে দলকে শক্তিশালী করার কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কতটা সফল হবেন শুভঙ্কর সরকার সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। এদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন আমি খুব ছোট একজন কংগ্রেসের কর্মী। সেই কর্মীকে যে দিল্লির হাই কমান্ড পশ্চিমবাংলা কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়েছেন ।
সেই দায়িত্ব পেয়ে আমি মনে করি আমি নয় ,আমরা ,এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই সচলতা নিয়ে পশ্চিমবাংলার কংগ্রেস কর্মীদের যে চাহিদা এবং নেতৃত্ব বর্গের যে নির্দেশ তাকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবাংলার মানুষের কংগ্রেসের প্রতি যে আশা ভরসা সেই প্রত্যাশা যাতে পূরণ করা যায় সেই লক্ষ্যে ই আগামী দিন প্রদেশ কংগ্রেসের চলার পথ তৈরি হোক বলে আমি মনে করি।