অবতক খবর :: নদীয়া ::- জেলায় এই প্রথম তেহট্টে গতকাল সন্ধ্যায় এক শিশুসহ ৫ জন করনা আক্রান্ত হাওয়ায় , বাড়তি চাপ বেড়েছে জেলা প্রশাসনের ওপর। অগ্নিনির্বাপণ হেডকোয়াটার কলকাতা ডি আই সি থেকে প্রাপ্ত নির্দেশ অনুযায়ী, জেলার প্রধান শাখা কৃষ্ণনগর সহ শান্তিপুর, রানাঘাট, চাকদহ, কল্যাণী , তেহটটো বেথুয়াডহরী, নবদ্দীপ এই মোট নয়টি কেন্দ্রেই গতকাল রাত ও আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগম এলাকায় সাফাই অভিযান শুরু হলো।
বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, মন্দির, হাসপাতাল, বাজার সংলগ্ন দোকানের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে অধিক জনসমাগম হতো পূর্বে, এমন স্থান গুলি কে পরিষ্কার রাখার প্রচেষ্টা গতকাল শুরু হলেও, চলবে নিয়মিত। সাব অফিসার ইনচার্জ শ্যামসুন্দর পন্ডিত জানান ” WB_ 99 এবং NSWT-6 দুটি গাড়ি নিয়ে এই অভিযানে নামা হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তিনজন স্থানীয়, এবং বাইরে থেকে ডিউটি করতে আসে আটকে যাওয়া ছজন স্টাফদের উপর বর্তাচ্ছে চব্বিশ ঘন্টার দায়িত্ব। অফিসেই কোনরকমে রান্না করে অতি কষ্টে কর্তব্য পালন করছে।”
গোপন সূত্রে জানা যায়, এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও স্বজন পরিবার ছেড়ে , দায়িত্বে অনড় বীরযোদ্ধাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম গ্লাভস ,মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেলেনা নিয়মিত। ঝাঁ-চকচকে ইমারত, দমকল ইঞ্জিন থাকলেও, যথেষ্ট পরিমাণে লোকের অভাব রয়েছে এই বিভাগে। অগ্নিনির্বাপণ ক্ষেত্রেই হোক আর বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রেই হোক জনসাধারণের ভরসার এই কেন্দ্র সারা বছর চলে মাত্র ১৯ জন স্টাফ নিয়ে। তাইতো ফায়ার ইঞ্জিন ড্রাইভার অপারেট করেন ইঞ্জিন। এভাবেই দুটি পদ, কখনো বা অন্যের ডিউটি সামলাতে হয় আরেকজনকে।