অবতক খবর,১৬ সেপ্টেম্বর,শালবনী: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে ইস্পাত কারখানা গড়তে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। শুক্রবার স্পেনের মাদ্রিদ শহর থেকে এই ঘোষণা করার পরই শনিবার শালবনী জুড়ে খুশির হাওয়া। শালবনীতে জিন্দল গোষ্ঠীর ফেরত দেওয়া প্রায় আড়াই হাজার একর জমির মধ্যে, ৬০০ একর জমিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে নিজের দ্বিতীয় ইস্পাত কারখানা গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাম আমলে শালবনিতে ইস্পাত কারখানা তৈরীর জন্য জিন্দলদের প্রায় ৪৩০০ একর জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্ষমতা পরিবর্তনের পর জিন্দলরা নিজেদের পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানে সিমেন্ট কারখানা গড়ে তোলে পুনরায় সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত ধরে শালবনীতে ইস্পাত কারখানা তৈরি হতে চলায় খুশির হাওয়া শালবনী তথা সমগ্র জেলা জুড়েই। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর ইস্পাত কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আর ফেরার পথে তার কনভয় হয়েছিল ল্যান্ডমাইন হামলা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা আর তারই ফলশ্রুতিতে লালগড় সহ জঙ্গলমহল জুড়ে মাওবাদী উত্থানের সূত্রপাত! তারপর কংসাবতী আর শিলাবতীর উপর দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, জিন্দলরা নিজেদের পরিকল্পনা বাতিল করে, সেখানে JSW সিমেন্ট কারখানা গড়ে তোলে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে জিন্দাল গোষ্ঠীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশিষ্ট জমি ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত জিন্দলরা তাতে রাজি হয়ে যান। শুক্রবার ৬০০ একর জমিতে ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলার ‘মহারাজ’ সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৭ সাল থেকে তিনি ইস্পাত কারখানার সঙ্গে যুক্ত আছেন। আসানসোলে এবং পাটনাতে তাঁদের কারখানা আছে। এরপর, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের অদূরেই (১৫-২০ কিলোমিটারের মধ্যে) নিজেদের তৃতীয় কারখানা গড়ে তুলবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এই ব্যবসাতে তার এক বন্ধুও যুক্ত আছেন বলেও জানিয়েছেন সৌরভ। এই খবরে স্বভাবতই খুশি শালবনীর আসনাশুলি, পালুইবনী জামবেদিয়া কুলফেনী বরাগাদা মতো এই প্ল্যান লাগোয়া পর্যন্ত গ্রামের গ্রাম বাসি থেকে জমিদাতারা ও শালবনীবাসী।